Wellcome to National Portal
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ নভেম্বর ২০১৭

ইতিহাস, মিশন-ভিশন ও কার্যাবলী

১. ইতিহাস      

  

             বিগত ৬ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে জনগণের বহুল প্রতিক্ষিত জনবান্ধব আইন ‘‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’’ প্রণিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের পূর্ববর্তী মেয়াদে প্রণীত আইনসমূহের মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ একটি মাইল ফলক। এ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশে প্রতিদিনই বাজার তদারকি করে অপরাধ দমনের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এবং ভোক্তাগণ তাদের অধিকার লংঘিত হলে এই আইন অনুযায়ী অভিযোগ দায়েরের সুযোগ পাচ্ছেন। এ আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ভোক্তা ও ব্যবসায়িগণ সচেতন হতে শুরু করেছেন। ভোক্তারা আইনের সুফল পেতে শুরু করেছেন।

 

        এই আইনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। এ আইনে অপরাধ আমলযোগ্য, আপোষযোগ্য এবং জামিনযোগ্য। বিভিন্ন নামে ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত অন্যান্য মন্ত্রণালয় প্রণীত আইনসমূহ বলবৎ থাকার প্রেক্ষাপটে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ একটি অতিরিক্ত আইন। ইহা মূল আইন না হলেও আইনটি সুসংহত এবং বিস্তৃত। এই আইনের ৩৭ হতে ৫৬ ধারায় বিভিন্ন অপরাধের বিবরণ ও দণ্ডের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এ আইনের আওতায় বিচারিক ব্যবস্থা বহুমাত্রিকঃ

 

ক্রমিক

বিচারিক ব্যবস্থার নাম

শাস্তির বিধান

১.

প্রশাসনিক ব্যবস্থা (ধারা ৭০)

জরিমানা, লাইসেন্স বাতিল এবং কার্যক্রম অস্থায়ী ও স্থায়ীভাবে বন্ধকরণ।

২.

ফৌজদারী ব্যবস্থা (ধারা ৫৭)

মামলা দায়ের হলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদন্ড ও ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।

৩.

দেওয়ানী প্রতিকার

(ধারা ৬৬-৬৭)

নিরূপিত ক্ষতির ৫ গুণ পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণের রায় হতে পারে।

(ক) ক্রটিপূর্ণ পণ্য যথাযথ পণ্য দ্বারা প্রতিস্থাপণের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান।

(খ) ক্রটিপূর্ণ পণ্য ফেরত গ্রহণ করে উক্ত পণ্যের মূল্য বাদীকে ফেরত প্রদান করার জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান;

(গ) ক্ষতিপূরণের জন্য বাদীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, যা আর্থিক মূল্যে নিরূপিত ও প্রমাণিত ক্ষতির অনূর্ধ্ব ৫গুণ পর্যন্ত হতে পারবে, প্রদানের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান; মামলার খরচ প্রদানের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান।

৪.

বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ (ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৭২)

ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ বা নকল ঔষধ প্রস্তুতের জন্য মামলা দায়ের করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। (ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ বা নকল ঔষধ প্রস্তুত করা হচ্ছে কিনা অনুসন্ধান করে তা উদঘাটন করার ক্ষমতা ও দায়িত্ব মহাপরিচালকের থাকলেও তাদের বিষয়ে এই আইনের অধীন কোন বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণ বা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে না। বর্ণিত অপরাধটি স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে বিচার্য।)

 

২. ভিশন

 

রুপকল্প (Vision): ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ভোক্তা অধিকার বিরোধী যাবতীয় কার্য প্রতিরোধ।

 

৩. মিশন

 

অভিলক্ষ (Mission):

 

(১) ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ এবং ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনজনিত বিরোধ      নিষ্পত্তি;

(২) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতি ও প্রবিধানমালা প্রণয়ন;

(৩) ভোক্তা অধিকার, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সুফল ও ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যের কুফল সম্পর্কে       জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য শিক্ষা ও প্রচারমূলক কার্যক্রমসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;

(৪) ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা;

(৫) জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির কার্যক্রম তদারকি ও পর্যবেক্ষণ;

(৬) প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন ও আধুনিক প্রযুক্তি অভিযোজনের মাধ্যমে সাশ্রয়ী, মানসম্পন্ন, আন্তর্জাতিক মানের ভোক্তা      অধিকার সংশ্লিষ্ট সেবা নিশ্চিতকরণ।

(৭) ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোক্তাদের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তিকরণ এবং যাবতীয় দাপ্তরিক কার্য পরিচালনা;

(৮) ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে গণশুনানী গ্রহণ;

 

৪. কার্যাবলী

১. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি;

২. গণশুনানী ও বিরোধ নিষ্পত্তি;

৩. জনসচেতনতা সৃষ্টি ও বাজার তদারকির মাধ্যমে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণ ;

৪. ভোক্তাদের অভিযোগ অনুসন্ধান ও নিষ্পত্তি; এবং

৫. গণশুনানী ও  সভা/ সেমিনার আয়োজন করা।